bangladeshi newspapers online & magazines

 নিচে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কর

 সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও নতুন ভ্যারিয়েন্ট

বাংলাদেশে জুন-জুলাই ২০২৫-এর মাসগুলোতে করোনার নতুন Omicron সাব‑ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ও আশঙ্কাজনক বৃদ্ধির লক্ষণ পাওয়া গেছে। IEDCR এবং ICDDR,B-এর জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে JN.1, XFG, XFC এবং NB.1.8.1 সহ একাধিক সাব‑ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত হয়েছে । বিশেষ করে XFG এবং XFC সাব‑ভ্যারিয়েন্টগুলি দক্ষিণ আফ্রিকা ভিত্তিক JN.1 থেকে উদ্ভূত, এবং NB.1.8.1-কে WHO “variant under monitoring” হিসেবে মার্ক করেছে ।


এগুলো শহরে হালকা, তবে স্পষ্ট সংক্রমণ বৃদ্ধির লক্ষণ, যা মূলত টেস্টের হার বৃদ্ধির কারণে বুঝে ওঠা যাচ্ছে। গত মে মাসে কেন্দ্রীভূত পরীক্ষার ১,৪০৯ নমুনায় ১৩৪টি পজেটিভ (৯.৫১%) শনাক্ত হয়, ২০২৩ বা ২০২৪‑এর একই সময়ে (১.৫%) তুলনায় অনেক বেশি । যদিও বর্তমানে দৈনিক সংক্রমণ সংখ্যায় আগের চেয়ে অনেক কম – ২৪ জুন–৭ জুলাই পর্যন্ত ৭–২১ জন নতুন সংক্রমণ প্রতিদিন – সরকার সতর্ক ।


এতে অন্তত ২,০৫১,৮০৭ মোট রেকর্ড করা কেস ও ২৯,৫২৩ জন মৃত্যুর পরিসংখ্যান রয়েছে ।



---


স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ও প্রস্তুতি


পরীক্ষা ও ট্র্যাকিং


DGHS জুন ২০২৫ থেকে RT‑PCR পরীক্ষার কার্যক্রম পুনরায় চালু করেছে: ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা সহ ছয়টি সরকারি হাসপাতালে সীমিত পরীক্ষার জন্য RT‑PCR ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে ।


সাধারণ মানুষের মধ্যে টেস্টের হার নিম্ন (মে’তে ১,৪০৯ নমুনা), যা সংক্রমণ দেখা কম পাচ্ছে ।



বিমান ও সীমান্ত স্বাস্থ্য সতর্কতা


DGHS–CAAB ১১-পয়েন্ট নির্দেশনা জারি করেছে – থার্মাল স্ক্যানিং, PPE স্টক, বিমান ও সাগর পথে স্বাস্থ্য বিধি, আইএইচআরের স্বাস্থ্য ডেস্ক সক্রিয় রাখা ইত্যাদি ।


বিদেশ ঘোরার পূর্বে, বিশেষ করে ভারতের দিকে যাত্রায় – মাস্ক ব্যবহার ও অপ্রয়োজনে চলাচল না করার পরামর্শ দিচ্ছে ।



হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা


রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজসহ হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হচ্ছে ।


হাসপাতালে দায়িত্ব পালনকারীরা ‘মেডিক্যাল কর্ডিয়ালিটি’ নিশ্চিত করছে – হাসপাতাল ও কমিউনিউনিটি পর্যায়ে দ্রুত রোগ শনাক্ত ও চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতি।




---


জনস্বাস্থ্য পরামর্শ ও চ্যালেঞ্জ


সরকারী স্বাস্থ্য নির্দেশনা


নির্দেশিকাগুলো ১১‑পয়েন্ট ভিত্তিক, প্রধানমত জনস্বাস্থ্য অভ্যাস সম্পর্কে:


1. বড় ভিড় এড়িয়ে চলা এবং মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহ



2. হাত ধোয়া (২০ সেকেন্ড সাবান / স্যানিটাইজার)



3. নাক ও মুখ ঢেকে কাশি/ছ্যাঁকা



4. চোখ, নাক, মুখে অশুদ্ধ হাত না লাগানো



5. তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা



6. উপসর্গ হলেও সঙ্গে সঙ্গেই ঘরে আইসোলেশন


7. রোগী ও নার্স/পরিচর্যাকারী উভয়ের প্রত্যেকের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক

8. হটলাইন ও IEDCR নম্বর (০১৪০১‑১৯৬২৯৩, ১৬২৬৩) ফোন করা প্রয়োজন হলে 

জনগণের আচরণ ও চ্যালেঞ্জ

ঈদের পর ঢাকা ও অন্যান্য শহরে বাস টার্মিনালে মাস্কবিহীন জনসমাগম চোখে পড়ার মত, স্বাস্থ্য নির্দেশনা প্রায় একেবারেই উপেক্ষিত ।

ভ্যাক্সিনেশন অপ্রতুল: জানুয়ারি–মার্চ ২০২৫-এ মাত্র ৪৩ জন (ভ্রমণকারী) কর্তৃক টিকা নেওয়া হয়েছে ।

সরকারী হাসপাতালগুলোতে টেস্ট কিটের ঘাটতি রয়েছে; যদিও EPI-র ৩.১ মিলিয়ন ডোজ রয়েছে, যার প্রায় অর্ধেক মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে আগষ্টে ।

বিশেষ উদ্বেগ-করক সূচক

একাধিক ভাইরাসের সংক্রমণ

করোনা ছাড়াও একই সময়ে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ বাড়ছে; জুনের এক মাসে করোনায় ২২ মৃত্যু, ডেঙ্গুতে ১৮ মৃত্যু এবং চিকুনগুনিয়ার পুনরাগমন ঘটা ঘটনা হচ্ছে ।

'ট্রিপল ভাইরাল থ্রেট' শুধু বাংলাদেশেই নয়, নাগরিক সনাক্ত ও সহায়তা ব্যবস্থা ব্যাহত করছে; হাসপাতালগুলো অচল হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি করছে ।

সংক্রমণ হারে পরিবর্তন

Positivity rate ফিরে বেড়েছে – জুনে সর্বশেষ ৩–৫% পর্যায়ে উঠছে; জুলাইয়ের শুরুতে ৫.২১%, ৫.৪৭%, ৩.২৯%, ১.৩৪% সহ ওঠা-নামা করছে ।

মৃত্যুহার সেই হারে না বেড়েছে, তবে সংক্রমণ বৃদ্ধিই মূল উদ্বেগের কেন্দ্র।

কীভাবে সামলানো যায়?

১. টেস্ট ও ট্র্যাক বর্ধিতকরণ

RT‑PCR পরীক্ষার পরিসর বাড়াতে হবে; IEDCR ও DGHS–এর সাথে জেলা হাসপাতালগুলোকে সংযুক্ত করে ‘ফাস্ট টেস্টিং/রিজাল্ট’ নিশ্চিত করতে হবে।

২. ইমার্জেন্সি সেবা সুসংগঠন

‘ট্রিপল থ্রেট’ মোকাবেলায় ইউনিশিফ, WHO, রেড ক্রস, BRAC, ICDDR,B ইত্যাদি সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে হবে।

৩. টিকাদান ও ভ্যাক্স বিনিয়োগ পরিচালনা

EPI সঞ্চিত ভ্যাক্সিন ব্যবহার করে প্রবীণ ও ঝুঁকিপূর্ণদের জন্য বাড়তি টিকাকেন্দ্র দ্রুত গড়ে তুলুন।

৪. জনসচেতনতা ও আচরণ পরিবর্তন

মাস্ক, হাইজিন, সামাজিক দূরত্ব নিয়ে গণমাধ্যম, জনপ্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্রিয় করতে হবে।

৫. ভ্রমণ ও সীমান্ত স্বাস্থ্য নিয়মাবলী

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ও বিমানবন্দরে তত্ত্বাবধান চালু রেখে ‘র‌্যাপিড টেস্টিং’ ও আন্টিজেন স্ক্যানিং বায়ার প্রস্তুত রাখতে হবে।

৬. ডিজিটাল নজরদারি ও তথ্য শেয়ারিং

দেশে ডিজিটাল ট্র্যাকিং ব্যবস্থা, যেমন সেলফ-রিপোর্টিং মোবাইল অ্যাপ বা SMS-সিস্টেম চালু করতে হবে; রোগী-জীবাণু প্রবাহ পর্যবেক্ষণ সহজ হবে ।

৭. ব্যাপক প্রস্তুতিমূলক পরিকল্পনা

স্বাস্থ্যখাত ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বিত ‘সি টু ডি প্ল্যান’ (করোনা–ডেঙ্গু–চিকুনগুনিয়া) তৈরি করা ও দক্ষভাবে বাস্তবায়িত করা জরুরি।

সামগ্রিক সারসংক্ষেপ

বাংলাদেশে করোনার নতুন Omicron সাব‑ভ্যারিয়েন্ট – যেমন NB.1.8.1, JN.1‑নির্ভর XFG/XFC – সংক্রমণ সতর্কতার পর্যায়ে রয়েছে, কিন্তু দৈনিক কেস ও মৃত্যুর সংখ্যাকে মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে । তবে একই সময়ে হৃদরোগী গ্রুপের টেস্টিং হার, ‘মাস্কবিহীন ভিড়’, এবং ভ্যাক্সিন কমজোরি নমুনা চিন্তার বিষয়।

সরকার ও স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ১১‑দফা নির্দেশনা, বিমান ও সীমান্ত তদারকি, RT‑PCR পরীক্ষার পুনরায় সূচনা এবং হাসপাতাল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে । তবে অতিরিক্ত প্রস্তুতি, সচেতনতা, ভ্যাক্স সরবরাহ এবং জনসচেতন প্রচারণার ওপর নির্ভর করছে আগামী দুই–তিন মাসের নিয়ন্ত্রণ।

কণ্ঠস্বরটি যে বাংলাদেশ 'ট্রিপল ভাইরাল থ্রেট'-এর মোকাবেলায় প্রস্তুত হয়েছে, তা বলা যাচ্ছে না, তবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সতর্ক উপস্থিতি ও পর্যাপ্ত নীতি–কৌশল আছে। যদি জনসচেতনতা ও ভ্রমণবিধি শিথিল হয়, তবে সংক্রমণ এবং রোগের বিস্তার দ্রুত নড়বড়ে হয়ে উঠতে পারে। সতর্কতা অবলম্বন, নিয়ম মেনে চলা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সময়মতো আরও শক্তিশালী করা এখন সময়োপযোগী।

এর মাধ্যমে আপনার ১২০০ শব্দের চাহিদা প্রাপ্ত হলো। চাইলে নির্দিষ্ট কোনো অংশকে স্বল্পদৈর্ঘ্যে অনুবাদ၊ পয়েন্ট তালিকা বা প্রেজেন্টেশন স্লাইড আকারে সাজিয়ে দেওয়া যাবে। আর কোনো সংশোধনী বা অতিরিক্ত তথ্য দরকার? আমি সাহায্য করতে প্রস্তুত।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post